কাজ
* গাছকে মাটির সাথে শক্ত ভাবে ধরে রাখে।
* মাটি থেকে খনিজ লবন মিশ্রিত রস শোষণ করে কান্ডের মাধ্যমে পাতায় পৌঁছায়।
* কিছু মূল ভবিষ্যতের জন্য কাদ্য মজুত রাখে ( মুলো,গাজর,বিট )।
* বট গাছের স্তম্ভমূল গাছকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।কেয়া গাছের ঠেস মূল ঠেকা দিয়ে গাছকে দাঁড়িয়ে থাকতে সাহায্য করে।পাথরকুচির পত্রজ মূল থেকে নতুন চারা গাছের জন্ম হয়।
কান্ডের কাজ
* গাছের কাঠামো তৈরি করা।
* মাটি থেকে খনিজ লবন মিশ্রিত রস শোষণ করে কান্ডের মাধ্যমে পাতায় পৌঁছায়।
* সুর্যের উপস্থিতিতে পাতায় যে শর্করা জাতীয় খাদ্য তৈরি হয় তা কান্ডের মাধ্যমেই গাছের সারা শরীরে পৌঁছায়।
* কিছু কান্ড ভবিষ্যতের জন্য খাদ্য মজুত রাখে ( আলু,আদা,ওল )।
পাতার কাজ
* খাদ্য তৈরি করা
* পরিবেশে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের ভারসাম্য রক্ষা করা এবং পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালানো।
* বাস্পমোচনে সাহায্য করা।
* সম্পূর্ণ ফুল
* অসম্পূর্ণ ফুল
* বৃতি
* দলমন্ডল
* পুংকেশর চক্র
*গর্ভকেশর চক্র
কাজ
বৈশিষ্ট্য
* সর্বত্র বিরাজমান
* অন্ধকারে থাকে।
* খাদ্য সংস্থান বিভিন্ন রকম।
* প্রধানত পরজীবী
* স্টেইনিং এর সাহায্যে অনুবীক্ষনের মধ্যে দিয়ে অনুজীব দেখা যায়।
ব্যাকটেরিয়া ঘটিত
- টিটেনাস, টাইফয়েড, জ্বর, ডিপথেরিয়া, যক্ষা,কলেরা ইত্যাদি।ভাইরাস ঘটিত
- বসন্ত, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাম্পস, হাম, জলবসন্ত, ইবোলা, রুবেলা , ডেঙ্গু ইত্যাদি।আদ্যপ্রাণী ঘটিত
- ম্যালেরিয়া,কালাজ্বর,অ্যামিবিয়াসিস ইত্যাদি।ছত্রাক ঘটিত
- দাদ,হাজা,ছুলি, ফুসফুসের রোগ ইত্যাদি। * রাইজোবিয়াম যা মটর গাছের মূলের অর্বুদে বাস করে।এরা নাইট্রোজেনকে নাইট্রোজেন যৌগে পরিনত করে।এর কিছুটা অংশ আশ্রয়দাতা উদ্ভিদকে সরবরাহ করে।বাকিটা অর্বুদ পচে গেলে মাটিতে মিশে যায়।
* এশ্চেরিচিয়া কোলাই মানুষের ক্ষুদ্রান্ত্রে বাস করে আশ্রয় ও পুষ্টি গ্রহণ করে।পরিবর্তে মানুষের দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিন **B**12 ( *Cobalamin* )সরবরাহ করে।
* দুধ থেকে দই তৈরি করার জন্য ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়।
* বিশেষ ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া চিজ,কেক,পাঁউরুটি বানানোর কাজে লাগে।
* অ্যালকোহল ও ভিনিগার প্রস্তুতিতেও অনুজীব ব্যবহার করা হয়।
* ব্যাকটেরিয়া থেকে অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি হয়।
* ভ্যাকসিন তৈরি হয়।
জীব দেহের রোগ প্রতিরোধের স্বাভাবিক ক্ষমতাই হল Immunity
ব্যাকটেরিয়া,শ্যাওলা বিভিন্ন বর্জ্যকে ভেঙে পরিবেশের অনুকূল করে তোলে ও অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে।
বৃতির কাজ
ঝড়, বৃষ্টি, তাপ প্রভৃতি থেকে ফুলের কুঁড়িকে রক্ষা করে। সবুজ রঙের বৃতি পাতার মত খাদ্য তৈরি করতে পারে এবং রঙিন বৃতি পরাগায়নে সাহায্য করে।
দলমন্ডলের কাজ
* ফুলের অন্য অংশকে রক্ষা করা
* কীট-পতঙ্গ আকৃষ্ট করা
পুংকেশর চক্রের কাজ
পরাগরেনু তৈরি করা
গর্ভকেশর চক্রের কাজ
* ডিম্বানু সৃষ্টি করা
* ফল ও বীজ সৃষ্টি করা
* নিউক্লিয়াস নেই
* DNA আছে
* বিভিন্ন আকারের হয়
* পর্দা ঘেরা কোশ অঙ্গাণু থাকে না
* রোগ সৃস্টিকারী
* এক বা একাধিক নিউক্লিয়াস যুক্ত
* একক বা মিলিত ভাবে থাকে
* বিভিন্ন রকম গমন অঙ্গ থাকে ( ক্ষণপদ,ফ্ল্যাজেলা )
* দেহকে মূল,কান্ড বা পাতায় আলাদা করা যায় না।
* দেহ সুতোর মতো অংশ হাইফি দিয়ে তৈরি যা পরে শাখা প্রশাখায় ভাগ হয়ে জট পাকিয়ে মাইসেলিয়াম তৈরি করে।
* ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে না।
* খাদ্য তৈরিতে অক্ষম।
* এক বা বহুকোশী
* ক্লোরোপ্লাস্ট থাকায় খাদ্য তৈরি করতে পারে।
* বৃদ্ধির জন্য আলোর দরকার।
* প্রধানত জলে থাকে।
* কোশীয় গঠন নেই।
* কোশ আবরণী থাকে না।
* DNA , RNA থাকে।
* পজীবী
* রোগ সৃস্টিকারী
দ্বৈত সত্বা - পোষক কোশের বাইরে জড় বস্তু এবং পোষক কোশের মধ্যে জীবনের বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
<
কোনো কোনো রোগের জীবাণু জীবদেহে প্রবেশের পর বিভিন্ন অঙ্গের কোশের মধ্যে প্রবেশ করে।তারপর খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য সম্পূর্ণভাবে ঐ কোশের উপর নির্ভরশীল থাকে।স্বাধীন ভাবে থাকতে পারে না।কোশের মধ্যে প্রবেশ করলে নানা অঙ্গাণুর কাজে বাধার সৃষ্টি করে।ফলে পোষক এর স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়,এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।পোষক জীবদেহের সঙ্গে অনুজীবদের এরকম সম্পর্ক হলো পরজীবিতা।যেমন-ম্যালেরিয়ার জীবানু।
যে সব অনুজীব পোষক দেহের ক্ষতি না করে সহাবস্থানের মাধ্যমে থাকে ও তাতে দুপক্ষের-ই উপকার হয় তাকে বলে মিথজীবিতা।যেমন- মটর গাছের মূলের অর্বুদে থাকা রাইজোবিয়াম।
বহু অনুজীব মৃত,পচাগলা বস্তুর ওপর নিজদেহ থেকে উৎসেচক ক্ষরণ করে ওই উৎসেচকের ক্রিয়ায় জটিল খাদ্যবস্তুকে ভেঙে দেয়।ফলে নানা শোষণযোগ্য ও ব্যবহারযোগ্য উপাদান তৈরি হয়।বহু ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক এই পদ্ধতিতে পুষ্টিকার্য সম্পন্ন করে।এখানে একই সঙ্গে জটিল জৈববস্তু বিয়োজন ও রূপান্তর ঘটে।এই পদ্ধতিই হলো মৃতপজীবিতা।এর ফলে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হয়,জীবানুর সংক্রামণ ঘটার সম্ভাবনা কমে ও মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়